রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া॥ বানারীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় এমপির উপস্থিতিতে পদ বঞ্চিত যুবলীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সহ তিন জন গুরুতর আহত হয়েছে।জানা গেছে শুক্রবার সকাল ১০টায় গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।বেলা ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ¦ গোলাম ফারুকের বক্তব্য চলাকালীণ যুবলীগের পদ বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা মিছিল সহকারে সভার স্থলে প্রবেশ করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মহসিন রেজার ওপর চেয়ার নিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়।এসময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও চাখার ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিদুর রহমান সোহাগ আহত হন। আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।আহত উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মহসিন রেজা জানান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নূরুল হুদা তালুকদার,মু.মুন্তাকিম লস্কর কায়েস ও সুমম রায় সুমন,মাসুম বিল্লাহ,বাপ্পী,যুবলীগ নেতা মনির মল্লিক,তপু তালুকদার ও র্যাবের অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামী তপুর নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।হামলার সময় সভার প্রধান অতিথি স্থাণীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইফনুস উপস্থিত ছিলেন।পরে দলীয় কার্যালয়ের সভা শেষ না করে এমপির নেতৃত্বে র্যালী বের হয়ে বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।সেখানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থাণীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইফনুস,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা প্রমূখ।উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম ফারুক,পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল প্রমূখ।উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হুদা তালুকদার জানান সভায় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ চেয়ারে বসতে না পারায় অনাকাঙ্খিতভাবে এ ঘটনা ঘটে।এদিকে হামলার ঘঁনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।প্রসঙ্গত গত ১৪ ডিসেম্বর প্রায় ১ যুগ পরে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফজলুল করিম সাহিন স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে মহসিন রেজাকে সভাপতি,মাইনুল ইসলাম রুমানকে সাধারণ সম্পাদক ও শফিকুল ইসলাম জুলহাসকে যুগ্ম সম্পাদক করে উপজেলা যুবলীগের তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।এ কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পদ বঞ্চিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।তারা চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হুদা তালুকদারকে সভাপতি,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মু.মুন্তাকিম লস্কর কায়েসকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা যুবলীগ এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মাসুম বিল্লাহকে সভাপতি ও সিরাজুল ইসলাম মিঠুকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর যুবলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করেন।উপজেলা যুবলীগের সাবেক অধহবায়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন এই কমিটির অনুমোদন দেন।সেই থেকে পাল্টাপাল্টি কমিটির নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়।দু’ই গ্রুপের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে শুক্রবার আ’লীগের গণতন্ত্রের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় হামলার মধ্য দিয়ে। এদিকে হামলার ঘটনায় দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় আরও সংঘাত-সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply